প্রকাশিত: ১৮/০১/২০১৭ ৮:৩৬ এএম

রফিকুল ইসলাম :
কক্সবাজার জেলা পরিষদের মালিকানাধিন উখিয়া ডাকবাংলো বিশ্রামাগার এলাকাটি অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিনত হয়েছে। সারাদিন সুনসান নিরবতা পরিলক্ষিত হলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর থেকে উখিয়া সর্বত্র হতে আসা ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারকারী গডফাদারদের মিলন কেন্দ্রে রুপান্তর হয়। এখানে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির পাইকারি পাচার ও নানা অসামাজিক কর্মকান্ড।
উখিয়া সদরের পাহাড়ি টিলার উপর বৃট্রিশ আমলের প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার জেলা পরিষদের ডাকবাংলো বিশ্রামাগারটি কালে ভদ্রে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে বছরের প্রায় সময় এটি খালি পড়ে থাকায় মাদক সেবি ও অসামাজিক কর্মকান্ডের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। ডাকবাংলো মার্কেটের নাম না প্রকাশ সর্তে কয়েক জন ব্যবসায়ী জানান সব কিছু দেখে মনে হয় দেশে আইন কানুনের বালাই নেই। প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে আগে উখিয়া ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের বড় বড় গডফাদাররা এখানে আসতে থাকে। অসংখ্যা গাছের ছায়া ঘেরা বিশ্রামাগারের আঙ্গীনা রাতের অন্ধকার আচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় অপরাধ জগতের এসব লোকজন ৪/৫জন করে ইয়াবা ট্যাবলেট বেচা কিনা ও সেবনের আসর বসায়। প্রতি রাতে এখানে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট হাত বদল হয়। এতে তাদের দল বলের অত্যচারে অতীষ্ট হয়ে পড়তে হয় বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।
তাদের মতে ইয়াবা বেচা কেনা, হাত বদল, সেবনের পাশাপাশি চলে নানা অসামাজিক কর্মকান্ড। তাদের বাধা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও ভয়ে সাহস করে না অনেকে। কারন তাদের আসরে স্থানীয় সরকারি কতিপয় সংস্থার লোকজন ও কিছু বিপদগামী প্রভাবশালী লোকজনের যাতায়াত লক্ষ্যনিয়। এব্যাপারে উখিয়া ডাকবাংলো কেয়ার টেকার মোঃ শফি জানান ছায়া ঘেরা অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে স্থানীয় প্রভাবশালী উচ্ছৃংখল কিছু লোকজন সহ এখানে আড্ডা করত। ডাকবাংলোর সামনের গেইট না থাকায় যে কেউ সহজে প্রবেশ করতে পারে। তবে সম্প্রতি সে বাঁশের টেংরা দিয়ে প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়ায় এখন আর তেমন লোকজনের অবাধ প্রবেশ ঘটছে না বলে সে জানায়। তবে ডাকবাংলো মার্কেটের ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের বৈধ ব্যবসার সুষ্টু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

পাঠকের মতামত

মা ও মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য নুরুন্নাহার বেগম ৪৪ ...

আরাকান বিদ্রোহীর গুলিতে বাংলাদেশী যুবকের মৃ’ত্যু

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ...